উত্তর: মহিলাদের জন্যও ঈদের মাঠে যাওয়া জরুরী। কেননা তাদেরকে ঈদের মাঠে যাওয়ার জন্য রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোরালোভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। উম্মু আতিয়্যাহ রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমাদের নির্দেশ দেওয়া হতো, আমরা যেন ঋতুমতী ও পর্দানশীল মহিলাদেরও দুই ঈদের দিনে (ঈদগাহে) বের করি, যাতে তারা মুসলিমদের জামাআতে এবং তাদের দু‘আয় শামিল হতে পারে; কিন্তু ঋতুমতীগণ যেন তাদের ছালাতের স্থান হতে একদিকে সরে বসে। তখন এক মহিলা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমাদের কারো যদি (শরীর ঢাকবার) বড় চাদর না থাকে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তার সাথী তাকে যেন আপন চাদর পরায়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৫১; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯০)। জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি ঈদের দিনে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছালাতে উপস্থিত ছিলাম। দেখলাম, তিনি খুৎবার পূর্বে ছালাত আরম্ভ করলেন আযান ও ইক্বামত ছাড়া এবং যখন ছালাত শেষ করলেন বিলালের গায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। অতঃপর আল্লাহর মহিমা ও তাঁর প্রশংসা বর্ণনা করলেন। তৎপর লোকদেরকে উপদেশ দিলেন। তাদেরকে (পরকালের কথা) স্মরণ করালেন এবং আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি উদ্বুদ্ধ করলেন। অতঃপর মহিলাদের দিকে অগ্রসর হলেন আর তখন তাঁর সাথে ছিলেন বিলাল, তাদেরকে তিনি আল্লাহভীতির উপদেশ দিলেন, কিছু নছীহত করলেন এবং (আখেরাতের কথা) স্মরণ করালেন (ছহীহ নাসাঈ, হা/১৫৭৫; ইবনু খুযায়মাহ, হা/১৪৬০)। উপরিউক্ত হাদীছদ্বয় দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মহিলারা ঈদের মাঠে গিয়েই ঈদের ছালাতে অংশগ্রহণ করবে এবং ঋতুমতী মহিলাগণ ছালাত আদায় করবে না; বরং খুৎবা ও তাকবীরে শরীক হবে।
প্রশ্নকারী : আফরোজা খাতুন
রাজশাহী।