কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩১) : সরকারি চাকরিজীবীদের জিপিএফ ফান্ড থেকে অর্জিত ইন্টারেস্ট গ্রহণ করা কি বৈধ?

উত্তর : জিপিএফ এর পূর্ণরূপ হলো জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড। প্রভিডেন্ট ফান্ডের ইন্টারেস্ট সম্পূর্ণরূপে সূদ, যা হালাল নয়। এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সূদকে হারাম করেছেন’ (আল-বাক্বারা, ২/২৭৫)। সরকারি চাকরিজীবীদের মূল বেতন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ৫% এবং ঐচ্ছিকভাবে ২৫% পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা রাখা হয়। এই অর্থকে চক্রবৃদ্ধিহারে কাজে লাগিয়ে অবসর গ্রহণকালে কর্মচারীকে বিশাল অঙ্কের টাকা প্রদান করা হয়, যা স্পষ্ট সূদ। তাই এই সূদ থেকে বেঁচে থাকা একান্ত জরুরী। উল্লেখ্য যে, অনেকেই বলে থাকেন, এটা যেহেতু বাধ্যতামূলকভাবে কেটে রেখে দেওয়া হয় এবং হাতে আসার আগ পর্যন্ত কর্মচারী উক্ত টাকার মালিকই হতে পারে না, তাই এই টাকা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ সূদ বলে গণ্য হবে না। বরং যখন কর্মচারী উক্ত টাকার মালিক হয়ে যাবে, তারপরে যদি সূদের কাজে লাগায়, তাহলে তখন তা সূদ বলে গণ্য হবে। এই বক্তব্য কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। কারণ- ১. সরকারিভাবে ৫% প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখা বাধ্যতামূলক। বাকী ২০% ব্যক্তি তার নিজের ইচ্ছায় রাখতে পারে ২. অবসর গ্রহণকালে টাকা ফেরত দেওয়ার সময় কত টাকা মূলধন এবং কত টাকা সূদ, তা বলে দেওয়া হয়। তাই ব্যক্তি চাইলে উক্ত সূদ থেকে বাঁচতে পারে ৩. সর্বোপরি কর্মচারী চাইলে তার একাউন্টকে পুরোপুরি সূদমুক্ত রাখার আবেদনও করতে পারে। বিধায় ইচ্ছা করলে সে সূদের একটি টাকাও ভক্ষণ করতে বাধ্য নয়। তাই কোনো যুক্তিতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সূদকে হালাল বলার উপায় নেই।

প্রশ্নকারী : মুনজিলা বিনতে আব্দুল মজীদ

আক্কেলপুর, জয়পুরহাট।

Magazine