উত্তর: যিলহজ্জের চাঁদ উঠলে কুরবানীদাতসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সবাইকেই নখ-চুল কাটা হতে বিরত থাকা উত্তম। কেননা আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আল্লাহ তাআলা কুরবানীর দিনকে এ উম্মতের জন্য ঈদ হিসেবে পরিগণিত করেছেন’। এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি যদি দুগ্ধবতী বা মালবাহী পশু ছাড়া ছাড়া অন্য কোনো পশু না পাই, তবে কি তা দিয়েই কুরবানী করব? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘না; তবে তুমি এ দিন তোমার চুল ও নখ কাটবে, তোমার গোঁফ কাটবে, নাভির নিচের পশম কাটবে। এটাই আল্লাহর নিকট তোমার পরিপূর্ণ কুরবানী হবে’ (আবূ দাঊদ, হা/২৭৮৯; নাসাঈ, হা/৪৩৬৫)। এই বর্ণনার সনদে ঈসা ইবনু হিলাল আস-সাদাফী নামক রাবী থাকার কারণে শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন (হিদায়াতুর রুয়াত, আলবানী, ২/১৩৫)। কিন্তু ইবনু হাজার রাহিমাহুল্লাহ ঈসা ইবনু হিলাল আস-সাদাফীকে সত্যবাদী (তাকরীবুত তাহযীব, ১/৭৭২) ও ইমাম যাহাবী রাহিমাহুল্লাহ তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন (আল-কাশিফ ফী মা‘রিফাতি মান লাহু রিওয়াতুন, ৩/৫৮৩)। তাই সঠিক কথা হলো, এই হাদীছ যঈফ নয়, বরং এটি গ্রহণযোগ্য হাদীছ। এই হাদীছের ভিত্তিতে যিলহজ্জের চাঁদ উঠলে কুরবানীদাতসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সবাইকেই নখ-চুল কাটা হতে বিরত থাকতে হবে।
প্রশ্নকারী : খোকন মাহমূদ
ঢাকা।