উত্তর: অমুসলিম দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যাবে না। কেননা এতে নিজের ও সন্তান-সন্ততির দ্বীন নিরাপদ থাকার বিষয়ে ঝুঁকি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় যারা নিজেদের প্রতি যুলমকারী, তাদের প্রাণ গ্রহণের সময় ফেরেশতাগণ বলে, তোমরা কী অবস্থায় ছিলে? তারা বলে, দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম। ফেরেশতাগণ বলে, আল্লাহর যমীন কি এমন প্রশস্ত ছিল না যেখানে তোমরা হিজরত করতে? এদেরই আবাসস্থল জাহান্নাম আর তা কত মন্দ আবাস’ (আন-নিসা, ৪/৯৭)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি ঐ মুসলিম থেকে দায়মুক্ত যারা মুশরিকদের মধ্যে বসবাস করে’ (আবূ দাঊদ, হা/২৬৪৫; তিরমিযী, হা/১৬০৪)। তবে তিনটি শর্ত মেনে অস্থায়ীভাবে অমুসলিম দেশে যাওয়া যাবে। সেগুলো হলো- ১. এমন জ্ঞান থাকতে হবে, যা দিয়ে অমুসলিমদের সংশয়-সন্দেহকে দূর করতে পারবে। ২. এমন ধার্মিকতা থাকতে হবে, যা দিয়ে অমুসলিমদের দুনিয়াবী চাকচিক্য থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে। ৩. জরুরী প্রয়োজন থাকতে হবে (মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনু উছায়মীন, ৬/১৩১-১৩২)। অর্থাৎ কেউ যদি পড়াশোনার জন্য অমুসলিম দেশে যেতে চায়, তাহলে এমন জ্ঞানার্জনের যেতে পারবে যেই জ্ঞান মুসলিম কোনো দেশে পাওয়া যায় না। আর প্রয়োজন পূরণ হলেই মুসলিম দেশে ফিরে আসতে হবে, সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যাবে না।
প্রশ্নকারী : নাঈম বিন আলামিন
ঢাকা।