উত্তর: ১. প্রথমত, তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় থাকা। আবূ যার রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, ‘তুমি যেখানেই থাক, আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো’ (তিরমিযী, হা/১৯৮৭)। আল্লাহ বলেন, ‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। আর তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন’ (আত-তালাক, ৬৫/২-৩)। ২. হারাম বা সন্দেহযুক্ত জিনিস থেকে দূরে থাকা। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আর যে সন্দেহজনক বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, সে হারামের মাঝে লিপ্ত হয়ে পড়ে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৯৮৬)। তিনি আরও বলেন, ‘পাপ হলো যা তোমার অন্তরে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে এবং লোকে তা জানুক তা তুমি অপছন্দ করো’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৪১০)। ৩. ইবাদতের উপর দুনিয়াকে প্রাধান্য না দেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে এবং ছালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখে না, তারা ভয় করে সেদিনকে যেদিন অনেক অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে’ (আন-নূর, ২৪/৩৭)। ৪. ধোঁকা না দেওয়া। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে আমাদের ধোঁকা দেয় সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১)। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শারঈ দিক-নিদের্শনাগুলো মেনে চলা। ৫. মিথ্যা না বলা বা কেনো কিছু গোপন না করা। হাকীম ইবনু হিযাম রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তারা (ক্রেতা-বিক্রেতা) সত্য বলে এবং অবস্থা ব্যক্ত করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে আর যদি মিথ্যা বলে এবং দোষ গোপন করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত মুছে ফেলা হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/২০৭৯)।
প্রশ্নকারী : শাহরিয়ার কবির
সারিয়াকান্দি, বগুড়া।