উত্তর: বিড়াল বা কবুতর পালনে কোনো বাধা নেই যদি তাদের খাবার ও পানীয় দেওয়া হয়। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা সূত্রে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমিনের পোকামাকড় খেতে পারত’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৩১৮)। আনাস ইবনু মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে মেলামেশা করতেন, এমনকি তিনি আমার এক ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আবূ উমায়র! কেমন আছে তোমার নুগায়র? (ছহীহ বুখারী, হা/৬১২৯)। কুকুর পালন করা তখন বৈধ হবে যখন তা বাড়ি-ঘর, ক্ষেতখামার পাহারা, পশু চড়ানো কিংবা শিকার করার উদ্দেশ্যে প্রতিপালন করা হবে। অনথ্যায় দুই কিরাত তথা উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ নেকী কমে যাবে। সালিম তার পিতার থেকে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিকারী কুকুর কিংবা গৃহপালিত পশুর পাহারার কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পালন করবে, প্রতিদিন তার ছওয়াব থেকে দুই কিরাত করে কমতে থাকবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৯১৬)।
প্রশ্নকারী : আক্বীমুল ইসলাম
জোতপাড়া, ঠাকুরগাঁও।