উত্তর: শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায়সমূহ- ১. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা (আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বনির রজীম বলে) এবং এ জাতীয় চিন্তা থেকে বিরত থাকা। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কারো নিকট শয়তান আসতে পারে এবং সে বলতে পারে, এ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? ঐ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? এরূপ প্রশ্ন করতে করতে শেষ পর্যন্ত বলে বসবে, তোমার প্রতিপালককে কে সৃষ্টি করেছে? যখন ব্যাপারটি এ পর্যায়ে পৌঁছে যাবে, তখন সে যেন অবশ্যই আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায় এবং বিরত হয়ে যায়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩২৭৬)। ২. বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলা। উছমান ইবনু আবূল আছ রাযিয়াল্লাহু আনহু নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! শয়তান আমার, আমার ছালাত ও কিরাআতের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং সবকিছুতে গোলমাল বাধিয়ে দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এটা এক শয়তান, যার নাম খিনযাব। যখন তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে, তখন তার অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে তিনবার তোমার বাম পাশে থুথু ফেলবে’। তিনি বলেন, তারপরে আমি তা করলাম আর আল্লাহ আমার হতে তা দূর করে দিলেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৫৬৩১)। ৩. أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ অর্থাৎ ‘আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, ক্ষতিকর প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি’। উক্ত দু‘আ পড়া যায় (ছহীহ বুখারী, হা/৩৩৭১)।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।