কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

হঠাৎ কেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে এত অস্থিরতা?

ভূমিকা :*সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন ব্যবসা পদ্ধতিতে ক্রেতাদের কাছ থেকে কয়েক মাস আগে অগ্রিম টাকা সংগ্রহ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য সরবরাহ করতে আরও বেশি সময় নেয়। এছাড়া, প্রায়ই তারা ক্রেতাদের জানিয়ে দেয় যে, তাদের অর্ডার করা পণ্যগুলো শেষ হয়ে গেছে বিধায় সেটা পাঠানো সম্ভব নয়। তবে মাসের পর মাস অপেক্ষার পরেও প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে ক্রেতারা তাদের টাকা ফেরত পান না বলে অসংখ্য অভিযোগ ওঠে।

ই-কমার্স কী : ই-কমার্স (ইলেকট্রনিক কমার্স নামেও পরিচিত) হলো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়, অর্থ স্থানান্তর এবং ইলেকট্রনিক (ইন্টারনেট) মাধ্যমে তথ্য স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া। এই নেটওয়ার্ক মানুষকে দূরত্ব এবং সময়ের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই ব্যবসা ও সেবা করার সুযোগ দেয়।

ই-কমার্সের যাত্রা ও বিকাশ : ১৯৭৯ সালে ইংলিশ উদ্যোক্তা মাইকেল অলড্রিচ অনলাইনে ই-কমার্স ধারণা দিলেও ইন্টারনেটের গতি মন্থর হওয়ায় জনপ্রিয়তা পায়নি। ১৯৯১ সালে ইন্টারনেট সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হলে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আমাজন মূলত ই-কমার্স ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে। বর্তমানে এর ব্যাপকতা এতটাই যে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বহু মানুষের জীবিকার উৎস ই-কমার্স। যা–ই হোক, দেশের অত্যধিক জনসংখ্যা, বিশেষ করে অল্প শিক্ষিত ও গরীবদের ভাগ্যোন্নয়নের আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। কালের বিবর্তনে গণমাধ্যমে আসছে এদের ছলচাতুরীর কথা। কিন্তু যার দ্বারা ই-কমার্সের এত প্রসার অর্থাৎ আমাজনের ব্যাপারে কয়টা প্রতারণার খবর পত্রিকায় পাই? নিন্দনীয় কিছু তো নেই-ই, উপরন্তু প্রতিষ্ঠানটি লভ্যাংশের কিয়দংশ বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা ও মানবকল্যাণে বিনিয়োগ করে।

অস্ট্রেলিয়ায় বেশির ভাগ মানুষ মূলত অনলাইনে কেনাকাটা করে, কখনো শুনিনি অমুক প্রতিষ্ঠান আপনার ফোনের অর্ডারে সাবান পুরে দিয়েছে। আবার যেকোনো দেশে ব্যবসা করতে চাইলে সেখানকার নিয়মনীতি অবশ্যই পালনীয়। যেমন, উবার অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসা শুরু করতে চাইলে দেশটির ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকার প্রথমে নিয়মনীতি বানায়। অর্থাৎ বিষয়টার একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে তাদের ব্যবসার অনুমতি দেয়। বলা বাহুল্য, ই-কমার্সসংক্রান্ত দু-একটা বাজে ঘটনা ঘটলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অনৈতিকতার কথা গণমাধ্যমে বারবার চাউর না হলে কেউ মাথা ঘামায় না। আর তদারককারী সংস্থাগুলোর ব্যবহার একপ্রকার ধরি মাছ না ছুঁই পানি। যেমন ই-ভ্যালি, কয়েক দিন আগে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিল অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ধর্মের নামে প্রতারণা করে এহসান গ্রুপ ১৭ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে বলে প্রকাশ। ই-অরেঞ্জের ধাপ্পাবাজি ধরা পড়ায় প্রতিষ্ঠানটির একজন ভারতে গ্রেফতার হলো। মজার ব্যাপার হলো প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গেটওয়ে দিয়ে। মানে বাংলাদেশ ব্যাংক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয় সম্পর্কে অবহিত। এত দিন প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে টুঁ শব্দ শোনা না গেলেও এখন অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে লিখছেন। কেউ বিনিয়োগকারীদের লোভী বলছেন, কেউবা ‘অতীত পর্যালোচনার’ ভিত্তিতে বহুবিধ উপদেশ বাতলাচ্ছেন। সম্ভবত অবস্থা বেগতিক দেখে ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ইং, বাণিজ্যমন্ত্রী ই-কমার্স নিয়ে নতুন আইন ও একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ইঙ্গিত দেন। প্রশ্নটা এখানেই, এত আইন থাকার পরও নতুন আইন। তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলো কোন আইনে চলছে?

বাংলাদেশে ই-কমার্সের যাত্রা ও আইন : বাংলাদেশে ই-কমার্সের যাত্রা ব্যাপকভাবে শুরু হয় ২০১৩ সালে। সে বছরই অনলাইন বাণিজ্য করার অনুমতিপত্র দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোনো আইন না থাকার পরও দায়িত্বশীল এক বা একাধিক কর্মকর্তা কেন এ ধরনের বাণিজ্য করার অনুমতি দিলেন? আর কেউ তা পরখ করেও দেখল না বা এমন প্রশ্ন তুলল না যে, আইনই তো নেই! আইন ছাড়াই এর যাত্রারম্ভ হয় কী করে? কোন ক্ষমতা বলে তিনি বা তারা অনুমতি দিলেন? আইন ছাড়াই যদি এমন একটি সম্ভাবনাময় বাণিজ্যের ছাড়পত্র বা লাইসেন্স দেওয়া যায়, তা হলে আইনের কী দরকার? যেকোনো ব্যাপার, আইন থাক বা না থাক, পারমিশন দিলেই যদি তা চলতে পারে, তাহলে একটি রাষ্ট্র আইন-আদালত ছাড়াই চলবে? আইন কেন লাগে, তা তো এখন বোঝা যাচ্ছে। ই-ভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের প্রতারণার পথ ধরে আরো কিছু অনলাইন বিজনেস কোম্পানি ক্রেতাদের পণ্য সরবরাহ করেনি। প্রতারিত করে তাদের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এরপরই মূলত সরকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা খোঁজ করছে আইন আছে কি নেই। এখন জানা যাচ্ছে, ই-কমার্সসংক্রান্ত কোনো আইনই দেশে নেই। কেউ কেউ বলছেন, একটি কমিশন আছে। তবে সেই কমিশনেরও নেই কোনো নীতিমালা, যা দিয়ে প্রতারকদের আটকানো যেত এবং প্রতারিত ক্রেতারা ফেরত পেতে পারত তাদের টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক মাস দুয়েক আগে ই-ভ্যালির কাণ্ড প্রকাশের পর একটি গাইডলাইন দিয়েছিল পণ্য দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে। সেটুকুই মাত্র ক্রেতাদের জন্য করা হয়েছে।

ই-কমার্স চালুর পর থেকে লাইসেন্স নিয়েছে ১৬০৯টি প্রতিষ্ঠান। ই-ক্যাব নামে তাদের অ্যাসোসিয়েশন আছে। তারা অদ্যাবধী ১৬ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তারা (বেশ কিছূ) গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছে, অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধের কর্তারা এ সম্পর্কে মোটেও টের পেলেন না। এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? সরকার বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কীভাবে প্রতারিত ক্রেতাদের অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা করবেন? তাদের তো কোনো আইনই নেই। শোনা যাচ্ছে, এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আইন করার আয়োজন করছে।

ধামাকা অফারে আকৃষ্ট লোভী ক্রেতারা : পণ্য কিনলেই অর্থ ফেরতের অস্বাভাবিক ‘ক্যাশব্যাক’ অফার দিয়ে ব্যবসা করেছে বাংলাদেশি ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি। প্রথম দিকে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার দেওয়া হয়েছিল। পরে তা ৪০ শতাংশ করা হয়। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য কিনলে সমপরিমাণ বা তার চেয়েও বেশি অর্থ ফেরত দেওয়ার লোভনীয় এই অফারে হাজার হাজার গ্রাহক আকৃষ্ট হয়েছেন।

পণ্য কেনার জন্য অগ্রিম টাকা জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ লাভবানও হয়েছেন। আর বাকিরা ছিলেন লাভবান হওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ই-ভ্যালির ‘জাদুর বেলুন’ চুপসে গেছে। মামলা হওয়ায় এর কর্মকর্তারা এখন জেলে আছেন। আর গ্রাহকরা পাওনা টাকার জন্য বিক্ষোভ করতে গিয়ে পুলিশের পিটুনি খেয়েছেন। লোভে পড়ে গ্রাহকরা ধানগাছে শরিষা আশা করেছিলেন। এখন আর বিক্ষোভে কী ফল হবে?

যে জিনিসটা সবার বোঝা উচিত তা হচ্ছে, বিক্রেতা বা কোম্পানি আপনাকে পণ্যের সঙ্গে ১০০ শতাংশ, ১৫০ শতাংশ টাকা ফেরত দিচ্ছে, সে কীভাবে তা দিচ্ছে? নিশ্চয়ই তিনি পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে বা পকেট থেকে দেবেন না। সেটা দিলে দেবেন অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে। খুবই স্বাভাবিক নিয়মে ই-ভ্যালির প্রায় ৯৫ শতাংশ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন।

ই-ভ্যালির মতো জোচ্চুরির প্রতিষ্ঠানের বিকাশ এবং এই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কেনার জন্য লাখ লাখ মানুষের লাইন দেওয়া-এর পেছনে রয়েছে লোভ। আমাদের দেশের মানুষ এখন লোভের পেছনে, লাভের পেছনে ছুটে চলেছে। এই যে দেশে এত চাঁদাবাজি, এত দুর্নীতি, এত মাদক ব্যবসা— এসবের কারণও কিন্তু স্রেফ চটজলদি বড়লোক হওয়ার দৌড়। এই দৌড়ে কেউ পিছিয়ে পড়তে রাজি নয়। তাই তো ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতাহীন সবাই চায় ফাস্ট হতে, যে কোনো মূল্যে দ্রুত বড়লোক হতে। এজন্য সবাই রুদ্ধশ্বাসে ছুটে চলেছে।

বর্তমান সময়ে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে গড়ে উঠা মানসিক দৃঢ়তা ও পারিবারিক শিক্ষাই পারে আপনাকে অসৎ ব্যবসায়ীদের চটকদার বিজ্ঞাপন থেকে দূরে রাখতে। আপনার অধিক লোভ আর অসৎ ব্যবসায়ী— দুইয়ের সমন্বয়ে কিন্তু আপনি সর্বস্বান্ত। যাক, জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পদের মোহ হতে মুক্ত হতে চাইলে জার্মান সমাজ মনস্তত্ত্ববিদ এরিক ফ্রমের উক্তি— ‘লোভ তলাবিহীন খন্দ, তৃপ্ত হওয়ার নিরন্তর চেষ্টা ব্যক্তিকে শুধুই নিঃশেষ করে, কিন্তু কখনোই পরিতৃপ্তি দেয় না’— আপনি নিজেসহ পরিবারের সবার জন্য এটা রপ্ত করতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অবাক করা তথ্য : বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ই-কমার্স মার্কেট গত আড়াই বছরে প্রায় ১০ গুণ বড় হয়েছে। ২০২০ সালে প্রতি মাসে ২০১৯ সালের যে কোনো মাসের তুলনায় অনলাইনভিত্তিক প্লাটফর্মগুলোর লেনদেন ও টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ, তিন গুণ এমনকি চার গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু, গত ৩-৪ মাসে একের পর এক ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর অনিয়মের তথ্য বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। ফলে অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে উঠা গ্রাহকরা হঠাৎ করেই বড় একটি ধাক্কা খান। কয়েক লাখ গ্রাহক অনলাইন প্লাটফার্মে আটকে থাকা তাদের কয়েকশ কোটি টাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

গোয়েন্দা নযরদারিতে ই-কমার্স সেক্টর : সাধারণ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা লোপাট ও বিদেশে টাকা পাচারের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এক ডজন ই-কমাস প্রতিষ্ঠানকে নযরদারির মধ্যে রেখেছে একাধিক সংস্থা। একই সাথে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করছে গোয়েন্দারা। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংকটকে পুঁজি করে ওইসব প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। লোভনীয়, চটকদার ও ধামাকা অফারের খপ্পরে পড়ে পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে লাখ লাখ গ্রাহকের। আসল পণ্যের ছবি দেখিয়ে নকল পণ্য দেওয়া, বিকাশ ও নগদে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করা, পণ্য না পাঠানো ইত্যাদি প্রতারণার যেন শেষ নেই তাদের।

উপসংহার : বিভিন্ন অফারের নামে বাজার মূল্যের চেয়ে যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অনেক কম দামে পণ্য বিক্রি করছে, পণ্য দেওয়ার আগেই টাকা নিচ্ছে অথচ সময় মতো পণ্য সরবরাহ করছে না সেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এরই মধ্যে লোভনীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে আগাম অর্থ গ্রহণ করে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেনের ক্ষেত্রে লাগাম টানার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে উচ্চ আদালত একটি সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে। তা হচ্ছে ই-ভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মালিকদের শর্তসাপেক্ষে নযরদারির ভেতরে রেখে ব্যবসায় ফিরিয়ে আনা এবং প্রতারিতদের টাকা ফেরত অথবা পণ্য সরবরাহ করতে বাধ্য করা।

প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃীত হাজার হাজার কোটি টাকার তুলনায় কোম্পানিগুলোর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ যত্সামান্য। এই পথে প্রতারিতদের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ব্যবসার গতি না থামিয়ে, তাকে আইনের আওতায় আনাই কর্তব্য। সরকার সেই পথেই হাঁটছেন। এটি একটি শুভ লক্ষণ। আমরা সব ক্ষেত্রে ভালো কিছু দেখতে চাই। অশুভ চিন্তা দূর হোক সমাজ-সংসার, রাজনীতি, সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক অ্যাভিনিউ থেকে— এটাই হোক আমাদের মৌলিক চিন্তা।

* খত্বীব, গছাহার বেগ পাড়া জামে মসজিদ (১২ নং আলোকডিহি ইউনিয়ন), গছাহার, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর; সহকারী শিক্ষক, চম্পাতলী জান্দিপাড়া ইসলামিক একাডেমি, চম্পাতলী বাজার, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর।

Magazine