উত্তর : অলী (অভিভাবক) ব্যতীত বিবাহ বৈধ নয় একথাই ঠিক। হোক না সে কুমারী, বিবাহিতা বা অবিবাহিতা। আবূ মূসা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِىٍّ ‘অলী ছাড়া কোনো বিবাহ নেই’ (তিরমিযী, হা/১১০১; আবূ দাঊদ, হা/২০৮৫; ইবনু মাজাহ, হা/১৮৮১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৪৬; দারেমী, হা/২২২৮)। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, أَيُّمَا امْرَأَةٍ نُكِحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ ‘অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোনো মহিলা বিয়ে করলে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল’ (আবূ দাউদ, হা/২০৮৩; মিশকাত, হা/৩১৩১)। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ করিয়ে দাও’ (আন-নূর, ৩২)। মা’ক্বিল ইবনু ইয়াসার রাযিয়াল্লাহু আনহু তার বোনকে এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ দেন। কিছু দিন পর ঐ ব্যক্তি তার বোনকে তালাক দিয়ে বিদায় করে দেয়। পরবর্তীতে তারা দুইজন আবার বিবাহ করতে চায়লে মা’ক্বিল ইবনু ইয়াসার অসম্মতি প্রকাশ করে বলেন, لاَ وَاللَّهِ لاَ تَعُودُ إِلَيْكَ أَبَدًا ‘আল্লাহর ক্বসম! সে তোমার নিকট কখনো ফিরে যাবে না’। তখন আল্লাহ আয়াত নাযিল কলেন, وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ ‘তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এবং তারা ইদ্দত পূর্ণ করে, তখন তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয়, তাহলে স্ত্রীগণ নিজেদের স্বামীদেরকে পুনর্বিবাহ করতে চায়লে তাদেরকে বাধা দিও না’ (আল-বাক্বারা, ২৩২)। মা’ক্বিল ইবনু ইয়াসার রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এখন আমি কি করব? তিনি বললেন, ‘তাকে তার সাথে বিবাহ করিয়ে দাও’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫১৩০)। উপরে বর্ণিত আয়াত এবং হাদীছ দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, নারী বিবাহিতা হোক কিংবা অবিবাহিতা তাকে তার অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষেই বিবাহ করতে হবে। অন্যথায় বিবাহ বাতিল হিসাবে গণ্য হবে।
-মাজহারুল ইসলাম
শিবগঞ্জ, বগুড়া।