কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৬): আমাদের এলাকায় ব্যাপকভাবে তামাক চাষ করা হয়। তামাক চাষের ইসলামী বিধান কী? এটা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখে। আমাদের অঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতে তামাক চাষ হয়।

উত্তর: তামাক নেশাদার দ্রব্য। আর কোনো নেশাদার বস্তু চাষাবাদ করা হারাম। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নেশা উদ্রেককারী প্রত্যেক জিনিস মদ আর প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী জিনিসই হারাম’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪৩৪৩)। এছাড়াও তামাক দিয়ে ধূমপানের মাধ্যম তৈরি করা হয়, যেমন- বিড়ি, সিগারেট বা পানের সাথে খাওয়া হয়। শুধু দেশের অর্থনীতিতে অবদান নয়, বরং একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি যদি তামাক হয়; তবুও হারামকে হালাল বানানোর কোনো সুযোগ নেই। আর্থিকভাবে অবদান রাখলেও এগুলো خبائث এর অন্তর্ভুক্ত, যা অপবিত্র ও হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন এবং অপবিত্র বস্তু হারাম করেন’ (আল-আ‘রাফ, ৭/১৫৭)। যেখানে তামাক উৎপাদন করা হয়, সেখানে হালাল পণ্য উৎপাদন হবে না মনে করা আল্লাহর নেয়ামতকে সংকীর্ণ মনে করা; যা বৈধ নয়। এছাড়া এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং তামাকের চাষাবাদ, ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবসা-বাণিজ্য করা হারাম। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় মদ পান করেছে অতঃপর তা থেকে তওবা করেনি, সে আখেরাতে তা থেকে বঞ্চিত থাকবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২০০৩)।

প্রশ্নকারী: হোসাইন

রংপুর।


Magazine