কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪১) : কোন পুরুষ বা মহিলা মাহরাম ছাড়া অন্য কোন মহিলা বা পুরুষে সাথে হোয়াটসআপ, মেসেঞ্জার, ইমো ইত্যাদিতে ভিডিও বা অডিও নয় শুধু মেসেজের মাধ্যমে কথা বলতে পারবে কি?

উত্তরফেসবুক, ইমো, টুইটারসহ যেকোনো উপায়ে, পরোক্ষ এবং অপরোক্ষ কোনোভাবেই বেগানা যুবক যুবতীর মাঝে নিষ্কাম বন্ধুত্বও অসম্ভব। কারো দ্বারা বিরলভাবে সম্বব হলেও শরীআতে তা হারাম। তাদের আপোসে পত্রালাপ ও রসালাপ বৈধ নয়। ইনগেইজমেন্ট (বাগদান) হয়ে গেলেও বিবাহ বন্ধন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত যেমন তাদের মাঝে দেখা সাক্ষাৎ হারাম তেমনি চিঠি, মেসেজের মাধ্যমে কথা বলা, হৃদয়ের আদান প্রদানও হারাম। যেহেতু তাতে ফিতনার আশষ্কা রয়েছে। আর ফিতনা ও দাজ্জাল থেকে পাকা মুমিনকেও দূরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (মুসনাদে আহমাদ, ৪/৪৩১, ৪৪১; আবূ দাঊদ, হা/৪৩১৯)। ইবনু মাসউদ রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় শয়তান মানুষের রক্তের শিরায় শিরায় চলাচল করে (ছহীহ বুখারী, হা/৩১০৭)। এমর্মে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বল না, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলি যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না...’ (আল আহযাব, ৩৩/৩২-৩৩)। অন্য হাদীছে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো পুরুষ যেনো কোনো (বেগানা) নারীর সাথে মাহরাম ব্যতীত এককিত্তে না থাকে (ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৩৫)। উমার রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোন পুরুষ অপর মোহরাম তথা বিবাহ বৈধ এমন) নারীর সাথে নিঃসঙ্গে দেখা হলেই শয়তান সেখানে তৃতীয় জন হিসাবে উপস্থিত হয়’ (তিরমিযী, হা/১১৭১; মিশকাত, হা/৩১১৮)।

প্রশ্নকারী : আব্দুল মজিদ

রাজপাড়া, রাজশাহী।


Magazine