উত্তর: কালেমার স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া কারো উপর শরীআতের বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না, তাদের বাধ্য করা যাবে না; বরং তারা নিজের ধর্ম পালন করার ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ ‘দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই’ (আল-বাকারা, ২/২৫৬)। এছাড়াও বিভিন্ন আয়াত এবং হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, অমুসলিমরা যদি ইসলামী রাষ্ট্রে জিযিয়া (ট্যাক্স বিশেষ) প্রদান করে নিজের ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করতে চায়, তাহলে তাদেরকে তার স্বাধীনতা দেওয়া যাবে (আত-তাওবা, ৯/২৯)। আব্দুর রহমান বিন আউফ হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজার এলাকার অগ্নিপূজকদের নিকট হতে জিযিয়া গ্রহণ করেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩১৫৭)। অর্থাৎ হাজার, যা ইসলামী রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল সেখানে অগ্নিপূজকদেরকে অগ্নিপূজক হিসাবেই থাকতে দিয়েছেন, ছালাত বা ছিয়ামের জন্য বাধ্য করেননি; তবে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে অপরাধ সংক্রান্ত আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে পারে। ঠিক তেমনি অশ্লীলতা রোধে শালীন পোশাক পরিধান করতে বাধ্য করা যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’ (আন-নূর, ২৪/১৯)।
প্রশ্নকারী : মো. আব্দুর রাজ্জাক
চাঁপাই নবাবগঞ্জ।