উত্তর: বন্ধু বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলো, সে যেন দ্বীনদার, সৎকর্মশীল এবং সৎ কাজের দিকে আহ্বানকারী এবং অসৎ কাজ থেকে বাধা দানকারী হয়। কেননা কোনো ব্যক্তির সৎ এবং অসৎ হওয়ার অনেকটাই তার বন্ধুদের উপর নির্ভর করে। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর রীতিনীতির অনুসারী হয়। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকেই যেন লক্ষ্য করে, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৮৩৩)। যেমন- আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যালিম ব্যক্তি কিয়ামতের দিন নিজের দুই হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায়! আমি যদি রাসূলের সাথে কোনো পথ অবলম্বন করতাম। হায়! দুর্ভোগ আমার, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্ৰহণ না করতাম!’ (আল-ফুরক্বান, ২৭-২৮)। আয়াতদ্বয় থেকে বুঝা যায় যে, যে ব্যক্তি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করবে, তাকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে হবে আর যে ব্যক্তি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরোধিতা করবে তাকে বন্ধু বানালে সে কিয়ামতের দিন আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ আতর বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের ন্যায়। আতর বিক্রেতাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না; হয় তুমি আতর খরিদ করবে, না হয় তার সুঘ্রাণ পাবে আর কর্মকারের হাপর হয় তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে’ (ছহীহ বুখারী,হা/৫৫৩৪)।
প্রশ্নকারী : মো. আল-মারুফ
পঞ্চগড়।