উত্তর: প্রথমত, বিবাহের প্রস্তাব মেয়েকে নয়, বরং মেয়ের অভিভাবককে দিতে হবে। কেননা অভিভাবক মেয়ের যাবতীয় বিষয়ে দায়িত্বশীল। অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হবে না (তিরমিযী হা/১১০২)। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কাজেই তোমরা তাদেরকে বিয়ে করবে তাদের মনিবের অনুমতিক্রমে’ (আন-নিসা, ৪/২৫)। দ্বিতীয়ত, স্বামী-স্ত্রী ইজাব-কবুল হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা একজন অপরজনের অপরিচিত মানুষ। তাদের পর্দা করা ফরয। তাই কোনো কিছু জানার প্রয়োজন হলে অভিভাবকের উপস্থিতিতে বা কারো মাধ্যম দিয়ে জানতে পারে। সরাসরি অবাধে কথাবার্তা বলা বা কোথাও দেখা করা যাবে না। এটা যেনার অন্তর্ভুক্ত হবে। কেননা বেগানা নারী পুরুষের মধ্যে যদি কথাবার্তা হয়, তাহলে তাদের মাঝখানে শয়তান প্রবেশ করে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোনো পুরুষ যেন কোনো মহিলার সঙ্গে নির্জনে একত্রিত না হয়। কেননা শয়তান অবশ্যই তাদের তৃতীয়জন হিসেবে হাযির থাকে’ (তিরমিযী, হা/১১৭১)।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।