কত অর্জনে এ ছওয়াব-বসন্ত তব জীবন রক্তিমে রাঙালো?
তব জীবন দ্বার, এ নব পত্রলেখা কি সাজে সাজালো?
তব জীবন-হাসিরে কি ভূষণে হাসালো?
কত বর্জনে এ শিশির তব জীবন আঙিনা চমকালো?
রহীমের তরে কত রজনি ক্ষমা-পথ চেয়ে জাগিয়াছো?
নীরব নির্জন নিশে একলা কি কিছু চাহিয়াছো?
পাপ-আবরণ, গুনাহ-বন্ধন, তুমি কি ছাড়িয়াছো?
রামাযানান্তে তার ভালোবাসায় গুনাহেরে কি রুধিয়াছো?
সজলঘন আঁখিতে এ মাস পরে ফের কি আধারে কাঁদিয়াছো?
নাকি তব পাপ-সমীরে ফের ফিরিয়াছো?
তব নোংরা আকাশ পানে ফের নাউ বাহিয়াছো?
ক্ষুধিত তৃষিত তব পাপ-কামনা রে কি ফের ফিরায়েছো?
ওযূ জলে, নূর-স্নিগ্ধে কি, পঞ্চ ওয়াক্ত দাঁড়াইয়াছো?
ঈমান মন্থিত অন্তরে কি আজো রহিয়াছো?
রামাযান অন্ত হইয়াছে তব ঈমানী হাসি কি রাখিয়াছো?
এ করুণ করুণা তব জীবন, কি শোভায় সাজালো?
এ রহমত-পবন, তব জীবনে কি ঋতু সাধালো?
এ মাসে আনীত বাণীতে তব সুরে, কি সুর আঁকালো?
এ শুভ্র-বসন্ত, তব জীবনে কোন ফুল ফোটালো?
-আব্দুর রহমান বিন আব্দুর রাযযাক
ফারেগ, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ,
বানারাস, ভারত।