উত্তর : মা-বাবা মুসলিম হোক বা অমুসলিম তাদের সাথে সদা সদাচরণ করতে হবে। মা-বাবার সাথে সদাচরণের আদেশ করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার করো’ (আল-ইসরা, ২৩)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে অংশী করতে পিড়াপিড়ি করে, যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে তুমি তাদের কথা মান্য করবে না, অবশ্য পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে সদভাবে বসবাস কর’ (লুক্বমান, ১৫)। অর্থাৎ তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে, তবে আল্লাহর অবাধ্যতায় তাদের কথা মান্য করা যাবে না (মিশকাত, হা/৩৬৯৬)। আসমা বিনতু আবূ বকর রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে আমার মা মুশরিক অবস্থায় আমার নিকট এলেন। আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফাতাওয়া চেয়ে বললাম, আমার মা আমার নিকট এসেছেন। সে আমার প্রতি খুবই আকৃষ্ট, এমতাবস্থায় আমি কি তার সঙ্গে সদাচরণ করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি তোমার মায়ের সঙ্গে সদাচরণ করো (ছহীহ বুখারী, হা/২৬২০)। অভাবগ্রস্ত শ্বশুর-শাশুড়িকে সহযোগিতা করা তাদের সাথে সদাচরণের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া পবিত্র কুরআনে অমুসলিমদের মনজয়ের জন্য যাকাত দেওয়ার আলাদা খাতই বর্ণিত হয়েছে । সুতরাং অভাবগ্রস্ত অমুসলিম শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে যাকাত দেওয়া যাবে।
প্রশ্নকারী : শাহিনুর আলম
লামা, বান্দরবান, চট্টগ্রাম।
                            
                        