কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪০) : অর্থনৈতিক লেনদেনের মুদ্রা হিসাবে কাগজের মুদ্রা কতটুকু শরীয়া সম্মত?

উত্তর : ১. অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মুদ্রা হিসাবে কাগজে নোটের ব্যবহার শরীয়া সম্মত। কারণ ১. বর্তমান বিশ্বব্যাপী প্রচলিত কাগজের মুদ্রা মূলত স্বর্ণ বা রৌপ্যের মূল্যমান যা তাবেঈগণের যুগে উমায়্যা খলীফা আব্দুল মালেক ইবনু মারওয়ান আরবীতে লেখা দীনার (স্বর্ণমুদ্রা), দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা), ফালস (তাম্রমুদ্রা) প্রচলন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় মুদ্রার প্রচলন হয় (আল-মুদাউওয়ানাহ, ৩/২৯ পৃ.)। ২. আর যেকোনো দেশ টাকা তৈরির জন্য তার সমপরিমাণ স্বর্ণ বা রৌপ্য রিজার্ভ ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর সে মূল্য পরিমাণ কাগজের নোট তৈরি করতে পারে। এ থেকে বুঝা যায় যে, বর্তমান প্রচলিত কাগজের নোটের সতন্ত্র কোনো মান না থাকলেও তার পরিবর্তে জমাকৃত স্বর্ণ বা রৌপ্যের কারণে তা স্বর্ণ বা রৌপ্যের স্থলাভিষিক্ত। অর্থাৎ কাউন্টারে টাকা দিয়ে টিকিট কেটে গেটম্যানকে টাকা না দিয়ে কাগজ দেখিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার মতো। কাগজের নোট লেনদেনের ক্ষেত্রে বর্তমান বিদ্বানগণ এই নোটকে স্বর্ণ ও রৌপ্যের সাথে তুলনা করেছেন। ইবনু বা’য রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, কাগজের নোট একটি আরেকটির সাথে বিনিময়ের ক্ষেত্রে স্বর্ণ ও রৌপ্যের স্থলাভিষিক্ত (মাজমূ‘উল ফতওয়া ইবনু বা’য, ১৯/১৫৮ পৃ.)। এছাড়াও ইবনু তাইমিয়্যা ও ইবনুল ক্বায়্যুম রাহিমাহুল্লাহ স্বর্ণ ও রৌপ্যের সূদের বিষয়টিকে তার মূল্যমান কাগজের নোটের সাথে সংযুক্ত করেছেন (মাজমূ‘উল ফতওয়া ইবনু তাইমিয়্যা, ২৯/৪৭১-৭২ পৃষ্টার আলোচনা দ্র.; ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন ইবনুল ক্বইয়্যুম, ২/১৫৬ পৃ.)। সূদের বিধান কার্যকর হওয়ার ক্ষেত্রে কাগজের নোট স্বর্ণ ও রৌপ্যের ন্যায় (আবহাছু হাইয়াতি কিবারিল উলামা, ১/৮৫ পৃ.)।

-হাসান

দক্ষিণ কোরিয়া।


Magazine