কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪০) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ছাদাক্বা কবূল হবে কি?

উত্তর: দান একটি গুরুত্বপূর্ণ এবাদত। যা ধনী-গরীব সবাই করতে পারে। ঋণ পরিশোধেযোগ্য ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির দান কবুল হবে না এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বচ্ছলতা-অস্বচ্ছলতা উভয় অবস্থায় সাধারণ দান করার নির্দেশ দিয়েছেন। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসূল! উত্তম ছাদাক্বা কী? তিনি বললেন, ‘অর্থের প্রতি লোভ থাকাকালে সুস্থ অবস্থায় তোমার দান করা, যখন তুমি দারিদ্রের ভয় কর এবং ধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখো’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৩৫৩; মুসলিম, হা/১০৩২)। অন্য হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–কে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! কোন দান সর্বোত্তম? রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘গরীবের কষ্টের দান’ (আবূ দাউদ, হা/১৬৭৭; মিশকাত, হা/১৯৩৮)। তবে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি দানের চেয়ে অতিব গুরুত্বপূর্ণ। তাই যদি কারো উপর ঋণের বোঝা থাকে এবং তার নিকট ঋণ পরিশোধযোগ্য অর্থের বেশি অর্থ না থাকে বা ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময় ঘনিয়ে আসে তাহলে, এমন ব্যক্তি টাল-বাহানা না করে আগে ঋণ পরিশোধ করবে। কেননা এমন ব্যক্তিকে দান না করে ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘স্বচ্ছলতা ব্যতীত ছাদাক্বা নেই’ (ছহীহ বুখারী, অধ্যায়-৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১৫৫)। ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ পূর্বোক্ত হাদীছ দ্বারা অধ্যায় রচনা করে বলেন, যে ব্যক্তি ছাদাক্বা করতে চায়; অথচ সে নিজেই দরিদ্র বা তার পরিবার-পরিজন অভাবগ্রস্ত অথবা সে ঋণগ্রস্ত, এ অবস্থায় তার জন্য ছাদাক্বা করা, গোলাম আযাদ করা ও দান করার চেয়ে ঋণ পরিশোধ করা অধিক কর্তব্য (ছহীহ বুখারী, অধ্যায়-১৭)।

প্রশ্নকারী : সালমান

চট্টগ্রাম।


Magazine