উত্তর: ‘তুই তালাক’ বলার সাথে সাথে এক তালাক হয়ে গেছে। কারণ এখানে তালাক শব্দটি স্পষ্ট অর্থবোধক শব্দ। তাই নিয়্যত কী করল আর করল না সেটা ধর্তব্য নয়। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তিনটি বিষয় এমন আছে যেগুলোর মজাকেও বাস্তব বলে গণ্য করা হয়- ১. বিয়ে, ২. তালাক ও রুজূ’ (সুনানে আবী দাঊদ, হা/২১৯৪)। পরে বলা, ‘আমি তোমাকে তালাক দিব’ এ বাক্যের কোনো প্রভাব এখানে নেই। তাই ব্যক্তি যদি আগে কোনোদিন তালাক না দিয়ে থাকে, তাহলে এটাই হবে তার প্রথম তালাক এবং এক তালাকে রেজঈ। অর্থাৎ সে ইচ্ছা করলে তিন মাস অতিক্রম করার পূর্বেই তাকে নতুন করে বিবাহ ছাড়াই ফেরত নিতে পারবে। আর তিন মাস অতিক্রম হলে নতুন করে বিবাহ করে নিতে পারবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের স্বামীরা তাদের ইদ্দতের মধ্যে ফেরত নেওয়ার অধিকার রাখে, যদি তারা মীমাংসা করতে চায়’ (আল-বাকারা, ২২/২৮)। তাবেঈ হাসান বাছরী বলেন, فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ এ আয়াত নাযিলের ব্যাপারে মা‘কাল ইবনু ইয়াসার বলেন, এটা এ ঘটনার ভিত্তিতে নাযিল হয়, আমার বোনকে কোনো এক লোকের সাথে বিবাহ দেই। সে তাকে তালাক প্রদান করে। তার ইদ্দত শেষ হলে সে তার বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আসে। আমি তাকে বলি, আমি আমার বোনকে তোমার সাথে বিবাহ দিয়ে তোমার বিছানাসঙ্গী করি, তোমাকে সম্মানিত করি আর তুমি তাকে তালাক দিলে! আবার বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এসেছ! না, সে তোমার কাছে যাবে না। আর লোকটি দেখতে শুনতে ভালো ছিল আর মেয়েটিও তার কাছে যেতে চাচ্ছিল। তখন আল্লাহ তাআলা আয়াত নাযিল করেন, ‘তোমরা যদি স্ত্রীদের তালাক দাও, অতঃপর তারা তাদের নির্ধারিত সময় পৌঁছে যায়, তখন তাদেরকে স্বামীদের বিবাহ করতে বাধা প্রদান করো না, যদি তারা ন্যায়সঙ্গতভাবে পরস্পর সম্মত থাকে’ (আল-বাকারা, ২/২৩২)।
প্রশ্নকারী : নাঈমুর রহমান
পটিয়া, চট্টগ্রাম।