উত্তর: অনেকেই হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর হত্যার ব্যাপারে খলীফা ইয়াযীদকে দায়ী করে থাকেন। কিন্তু খলীফা ইয়াযীদের শাসনামলে ৬১ হিজরীর ১০ মুহাররম ইরাকের কারবালা নামক স্থানে হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে হত্যা করা হলেও তার হত্যার ব্যাপারে ইয়াযীদ দায়ী ছিলেন না। এ মর্মে শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ঐতিহাসিকগণ এ বিষয়ে একমত যে, নিশ্চয় ইয়াযীদ বিন মুয়াবিয়া হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে হত্যার নির্দেশ দেননি। তিনি উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে কেবল ইরাক দখল করা হতে বাধা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন (মাজমূউ ফাতাওয়া, ৩/৪১১ পৃ.)। তিনি আরো বলেন, হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর স্ত্রী-পুত্রগণ যখন ইয়াযীদের নিকট পৌঁছলেন, তখন তিনি তাদের অনেক সম্মান করেছেন এবং নিরাপত্তার সাথে তাদেরকে পুনরায় মদীনায় পৌঁছে দিয়েছেন (প্রাগুক্ত)। ইতিহাসগ্রন্থ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর হত্যার ব্যাপারে প্রকৃত দোষী দুইজন- উবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ ও সীমার। কারণ কূফাবাসীর বায়আত গ্রহণের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে যখন তিনি সেখানে আগমন করেন এবং তার সাথে বেঈমানী করে তারা তাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়, তখন ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ কূফার গভর্নর ছিল, সে সরাসরি যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল এবং তার আদেশেই এটা ঘটেছে। আর সীমার সরাসরি হত্যাকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিল (আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/২১৪ পৃ.)। উল্লেখ্য, হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর শাহাদাত বরণের সাথে আশূরায়ে মুহাররমের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই (ইবনু হাজার আসক্বালানী, দারুল ইছাবা, ১/৩৩১ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : ইবরাহীম
সরিষাবাড়ী, জামালপুর।