কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

post title will place here

প্রশ্ন (৪২) : কোনো ব্যক্তি হজ্জে যাওয়ার পূর্বে ওয়ারিছদের মাঝে সম্পদ বণ্টনের ব্যাপারে অছিয়ত করতে পারবে কি?

উত্তর : মূলত মালিকের মৃত্যুর পরেই সম্পদ বণ্টন হবে। তবে ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনবোধে অংশহারে সম্পদ বণ্টনের অছিয়ত করতে পারে। সাথে সাথে সামাজিক কোন ...

post title will place here

প্রশ্ন (৩৬) : ঈদের দিনে কবর যিয়ারত করা যাবে কি?

উত্তর : কবর যিযারত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। তবে কবর যিযারত করার জন্য জুমআ ও দুই ঈদের দিনকে নির্দিষ্ট করে নেওয়া বিদআত হবে। কেননা এই দুই দিনে খাছ ...

post title will place here

প্রশ্ন (৩৫) : ঈদুল আযহার দিন ছিয়াম পালনে শারঈ নিষেধাজ্ঞা আছে কি?

উত্তর : ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও তাশরীকের দিনগুলোতে ছিয়াম রাখা জায়েয নয়। আবূ সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহ ...

post title will place here

প্রশ্ন (৩৪) : ঈদুল আযহার দিন ছালাত আদায়ের পূর্ব পর্যন্ত ছওম থাকা ও কুরবানীর কলিজা দ্বারা ইফতারী করা কি সুন্নাত?

উত্তর : ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ঈদুল ফিতরে খেয়ে ঈদের মাঠে যাওয়া এবং ঈদুল আযহাতে ঈদের মাঠ থেকে এসে খাওয়া সুন্নাত (তিরমিযী, হা/৫৪২; ইবনু মাজাহ ...

post title will place here

প্রশ্ন (৩২) : কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার পূর্বে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করার অছিয়ত করে গেলে তার অছিয়ত পূর্ণ করার বিধান কী?

উত্তর : অছিয়ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা বাস্তবায়ন করার জন্য আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন (আন-নিসা, ৪/৭৯)। তাই মৃত ব্যক্তি কুরবানীর করার অছিয়ত করে ...

post title will place here

প্রশ্ন (৩০) : ঈদের ছালাতের পরে ও খুৎবার পূর্বে কুরবানী করা যাবে কি?

উত্তর : ঈদের ছালাতের পরে খুৎবা দেওয়া যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত তেমনি খুৎবা শোনাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা রাসূলুল্লাহ ছালাত শেষে যখন মুছল্লী ...

post title will place here

প্রশ্ন (২৮) : হাদীছে সামর্থ্যবান ব্যক্তি কুরবানী না দিলে তাকে ঈদের মাঠে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই এমন ব্যক্তি যদি কুরবানী না দেন তাহলে কি তিনি ঈদগাহে ছালাত আদায় করতে যেতে পারবেন?

উত্তর : সামর্থ্য থাকলে কুরবানী করা জরুরী বিধানটি এমন নয়। সুতরাং সামর্থ্যবান ব্যক্তি কুরবানী না দিলেও সে যেমন পাপী হবে না; তেমনি তার ঈদগাহে যাওয়া ও ছাল ...

post title will place here

প্রশ্ন (২৪) : কুরবানী করার সময় কোন দু‘আ পড়তে হবে?

উত্তর : কুরবানী করার সময় বলবে, بِاسْمِ اللهِ وَاللهُ أَكْبَرُ ‘বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লাহু আকবার’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৬৬)। এর সাথে ‘আল্ল-হুম্মা তাক্বাব্বাল ...

post title will place here

প্রশ্ন (২২) : সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যারা কুরবানী করেনি, তাদেরকে গোশত দেওয়া যাবে কি?

উত্তর : হ্যাঁ, যাবে। কেননা সামর্থ্য থাকলেই কুরবানী করা জরুরী নয়। বরং কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। কোনো সময় কেউ ছেড়ে দিলে গোনাহগার হবে না। আবূ বক ...

post title will place here

প্রশ্ন (১৯) : কুরবানীর গোশত সমানভাবে তিন ভাগে ভাগ করা কি জরুরী? কুরআন-হাদীছের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর : কুরবানীর গোশত সমানভাবে তিন ভাগে ভাগ করার বিষয়টি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। বরং তা নিজে খাবে এবং আত্মীয়-স্বজন ও ফকীর-মিসকীনকে খাওয়াবে। আল্ল ...

post title will place here

প্রশ্ন (১৮) : একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীক্বা করা যাবে কি?

উত্তর : না, একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীক্বা করা যাবে না। এটা শরীআতের সাথে প্রতারণা। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ ধরন ...

post title will place here

প্রশ্ন (১৬) : কুরবানীর চামড়ার টাকা মসজিদ ও মাদরাসায় দেওয়া যাবে কি?

উত্তর : ওশর, যাকাত ও কুরবানীর চামড়ার টাকা মসজিদে দেওয়া যাবে না। কারণ সূরা আত-তওবার ৬০ আয়াতে যাকাতের যে ৮টি খাত উল্লেখ করা হয়েছে, মসজিদ তার অন্তর্ভুক্ত ...

post title will place here

প্রশ্ন (১৩) : কুরবানীর চাঁদ উঠলে না কি কোনো পশু যবেহ করা যায় না। তাহলে এ সময়ে জন্মের সপ্তম দিনে আক্বীক্বা করতে হলে করণীয় কী?

উত্তর : কুরবানীর চাঁদ উঠলে কোনো পশু যবেহ করা যায় না— এ কথাটি ঠিক নয়। কুরবানীর চাঁদ উঠার পরও হালাল পশু যবেহ করা যায়। এতে শরীআতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। সু ...

post title will place here

প্রশ্ন (৯) : সমাজে প্রচলিত আছে যে, ‘কাবিল তার সুন্দরী বোনকে বিবাহ করতে না পারায় হিংসার বশবর্তী হয়ে হাবীলকে হত্যা করেছিল’। এ ঘটনা কি ঠিক?

উত্তর : না, সমাজে প্রচলিত উক্ত ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানাওয়াট, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মূলত হাবীল-কাবীলের দ্বন্দ্বটি ছিল কুরবানী কবুল হওয়া ও না হওয়া নিয়ে। বোনকে ...

post title will place here

প্রশ্ন (৭) : কা‘ব আহবার আলাইহিস সালাম আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু এবং মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক আলাইহিস সালাম বিভিন্ন রাবী থেকে বর্ণনা করেন যে, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম যখন পুত্রকে কুরবানী করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন, তখন ইবলীস মনে মনে হাজেরা (আ.)-কে বিপথে পরিচালিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এসে বলল, তুমি কি জানো, তোমার স্বামী ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? হাজেরা (আ.) বললেন, কেন? পাহাড়ে খড়ি কাটতে যাচ্ছে৷ শয়তান বলল, আল্লাহর কসম! তোমার স্বামী তার রবের নির্দেশে ইসমাঈলকে কুরবানী করতে নিয়ে যাচ্ছে৷ এ কথা শুনে হাজেরা (আ.) বললেন, যদি তার রবই তাকে এ নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তাহলে আমিও তাকে সহযোগিতা করব৷ হাজেরা (আ.)-এর নিকট হতে নিরাশ হয়ে শয়তান ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর পিছন পিছন চলা ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-কে বিপথগামী করতে চাইল। কিন্তু মায়ের মতো ইসমাঈল আলাইহিস সালামও একই উত্তর দিল। অনেকক্ষণ চিন্তা করে ভালো মানুষের রূপ ধরে শয়তান স্বয়ং ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-কে গিয়ে বলল, আল্লাহর কসম! আমি জানি শয়তানই আপনাকে এ স্বপ্ন দেখিয়েছে। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ইলমে নববী দ্বারা বুঝতে পারলেন যে, এ ব্যক্তি শয়তান ছাড়া আর কেউ না। তাই তিনি শয়তানকে বললেন, হে অভিশপ্ত! তুই দূর হয়ে যা। এতে শয়তান রাগান্বিত হয়ে পিছু হটল। উক্ত ঘটনা কি ঠিক?

উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত ঘটনাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ছহীহ সূত্রে ও নির্ভরযোগ্য কোনো কিতাবে এর কোনো ভিত্তি পাওয়া যায় না। সুতরাং এমন অনির্ভরযোগ্য ...

Magazine