উত্তর: ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের সাংকেতিক ডিজিটাল মুদ্রা, যার কোনো বাস্তব রূপ নেই। এর অস্তিত্ব শুধু ইন্টারনেট জগতেই আছে। এটি ব্যবহার করে লেনদেন শুধু অনলাইনেই সম্ভব; ব্যাংকে বা ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং এর মতো মুদ্রা বাস্তবে বের করে ব্যবহারের সুযোগ নেই। যার পুরো কার্যক্রম ক্রিপ্টোগ্রাফি নামক একটি সুরক্ষিত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। কিছু উল্লেখেযোগ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো Bitরযিয়াল্লাহু আনহুoin, আলাইহিস সালামthআলাইহিস সালামrআলাইহিস সালামum, Dogআলাইহিস সালামরযিয়াল্লাহু আনহুoin, Litআলাইহিস সালামরযিয়াল্লাহু আনহুoin, Riরহিমাহুল্লাহরহিমাহুল্লাহlআলাইহিস সালাম. ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের পিয়ার টু পিয়ার ব্যবস্থা। এতে তৃতীয় পক্ষের তথা সরকার বা কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না অর্থাৎ এখানে সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। তাই কে কার কাছে এই ডিজিটাল মুদ্রা বিনিময় করছে তা অন্য কেউ জানতে পারে না এবং ভ্যালুর উপর কোনো দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই। কারণ এই মুদ্রাব্যবস্থার কোনো কেন্দ্রীয় রূপ নেই। ব্লক প্রযুক্তিতে এটি লেনদেন হয়। সুতরাং এটি ব্যবহার করা বা তা দিয়ে লেনদেন বৈধ নয়। কেননা এখানে ধোঁকার আশঙ্কা রয়েছে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদেরকে ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৬)। এই কারেন্সিগুলোর ক্ষেত্রে সকালে যার ভ্যালু ২০০০ ডলার সন্ধ্যায় তার ভ্যালু ২০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের উদ্ভাবক কে তা জানা যায় না এবং আর ইসলামে অনিশ্চিত উপায়ে অর্থ উপার্জন নিষিদ্ধ। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঙ্কর নিক্ষেপের মাধ্যমে কেনাবেচা ও প্রতারণামূলক ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন (ছহীহ মুসলিম হা/১৫১৩)। তাছাড়াও এটি রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত নয়, এর অন্তর্নিহিত বা নিজস্ব কোনো মূল্য নেই এবং এটি অনেক সময় নিষিদ্ধ হ্যাকিং ও জুয়ায় লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হালালও স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট আর এ দুয়ের মাঝে রয়েছে কিছু সন্দেহজনক বিষয়, যা অনেকেই জানে না। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয়সমূহ থেকে বেঁচে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫০)।
প্রশ্নকারী : মো. নাছিম আহমেদ
কালিহাতী, টাঙ্গাইল।