উত্তর: কুরআনুল মাজীদের দ্বিতীয় সূরা আল-বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসী। আয়াতুল কুরসীর অনেক ফযীলত। নিম্নে কিছু ফযীলত উল্লেখ করা হলো- ১. জান্নাত লাভ। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘প্রত্যেক ফরয ছালাতের পর যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার জান্নাতে যাওয়ার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না’ (আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/৭৫৩২)। ২. রাতে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয়। শয়তান আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু-কে শিখিয়ে দিয়েছিল, যখন তুমি রাতে শয্যায় যাবে তখন আয়াতুল কুরসী (اللهُ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ) আয়াতের শেষ পর্যন্ত পড়বে। তখন আল্লাহর পক্ষ হতে তোমার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত হবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না (ছহীহ বুখারী, হা/২৩১১)। ৩. কুরআনের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত (মুসনাদে আহমাদ, হা/২১২৭৮)।
প্রশ্নকারী : শাফিউর রহমান শুয়াইব
পবা, রাজশাহী।