উত্তর: ছিয়ামের বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য ছিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা তাক্বওয়ার অধিকারী হতে পার’ (আল-বাক্বারা, ১৮৩)। উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ছিয়ামের বিধান মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পূর্ববর্তী জাতিদের মধ্যেও ছিল। প্রতিমাসে তিন দিন করে ছিয়াম পালন করা হতো। নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে দ্বিতীয় হিজরী সালে রামাযান মাসের ছিয়াম শরীআতসম্মত করে পূর্বের পদ্ধতিকে রহিত করে দেওয়া হয়েছে (তাফসীর ইবনে কাছীর, ১/৩৬৪)। আর এ বিধান কেন দেওয়া হয়েছে তা আল্লাহ তাআলা নিজেই সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে, যাতে তোমরা তাক্বওয়ার অধিকারী হতে পার। ঈদ ও রামাযানের ছিয়ামের সাথে সাথে দ্বিতীয় হিজরী সালে শরীআতসম্মত করা হয়েছিল (মিরআতুল মাফাতীহ, ৫/২১)। আর এ বিধান প্রবর্তনের কারণ হলো, আনাস ইবনু মালিক রযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাতে এসে দেখেন, মদীনাবাসীরা নির্দিষ্ট দুটি দিনে খেলাধুলা ও আনন্দ করে থাকে। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ দুটি দিন কীসের?’ সকলেই বলল, জাহেলী যুগে আমরা এ দুইদিন খেলাধুলা করতাম। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘মহান আল্লাহ তোমাদের এ দুইদিনের পরিবর্তে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। তা হলো ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন’ (আবূ দাঊদ, হা/১১৩৪)।
প্রশ্নকারী : নিযামুল হক্ব
চট্রগ্রাম।