উত্তর: এতে কোনো সন্দেহ নেই যে রামাযান মাসে প্রত্যেক সৎকাজের ছওয়াব বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়, যা বিভিন্ন হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয়, যেমন উমরা সম্পর্কে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রামাযান মাসে একটি উমরা আদায় করা একটি ফরয হজ্জ আদায় করার সমান’ অথবা বলেছেন, ‘আমার সাথে একটি হজ্জ আদায় করার সমান’ (বুখারী, হা/ ১৮৬৩, মুসলিম, হা/১২৫৬)। লায়লাতুল কদরে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ ‘লায়লাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ’ (আল-ক্বদর, ৯৭/৩)। এই ফযীলত আছে বলেই রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে দান করার গতি বৃদ্ধি করে দিতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬; ছহীহ মুসলিম, হা/২৩০৮)। বিশেষভাবে কুরআন মাজীদের ফযীলত এ হাদীছ থেকেও বুঝা যায় যে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল আলাইহিস সালাম-এর সাথে রামাযানে কুরআনের দাওর করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬; ছহীহ মুসলিম, হা/২৩০৮)। সুতরাং রামাযান মাসে কুরআন মাজীদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া একজন মুসলিমের কর্তব্য। তবে আমলের ছওয়াব সত্তর গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় মর্মে যে হাদীছটা আছে তা যঈফ, গ্রহণযোগ্য নয় ) শুআবুল ঈমান, হা/৩৬০৭)।
প্রশ্নকারী : তাসলিমা
তকবাজখানী, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ।