উত্তর: দ্রুত কিরাআত পাঠ করা করা কাম্য নয়; ধীরস্থিরভাবে তারতীল সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কুরআন পাঠ করো ধীরে ধীরে সুন্দর আওয়াজে’ (আল-মুযযাম্মিল, ৭৩/৪)। এছাড়াও ছালাতের সকল কর্ম ধীরস্থিরভাবে আদায় করা জরুরী। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন ব্যক্তিকে মসজিদে তাড়াহুড়া করে ছালাত আদায় করতে দেখে বলেছিলেন, ‘তুমি আবার ছালাত আদায় করো। কেননা তুমি ছালাত আদায় করনি’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭২৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৯৭)। এক্ষণে বিষয়টি নিজে বা অন্য কারো মাধ্যমে ইমামকে অবগত করাতে হবে এবং ইমামকে ধীরস্থিরভাবে তারতীল সহকারে ছালাতে কিরাআত করতে হবে। এরপরেও সমাধান না হলে পাশের কোনো মসজিদে যেখানে ধীরস্থিরভাবে কিরাআত হয়, সেখানে ছালাত আদায় করতে পারে। আর ইমামকে মুছল্লীদের প্রতি লক্ষ্য রেখে ছালাত আদায় করাতে হবে। মুছল্লীদের যাতে কোনো ধরনের কষ্ট না হয় সে জন্য ছালাত দীর্ঘ করবে না, কিরাআত, রুকূ ও সিজদা স্বাভাবিক রাখবে, নির্ধারিত সময় অতিক্রম করবে না। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ মানুষের ইমামতি করবে, তখন ছালাত হালকা করে আদায় করবে। কেননা তাদের মধ্যে ছোট, বড়, দুর্বল ও অসুস্থ ব্যক্তি থাকে। আর যখন একাকী ছালাত আদায় করবে, তখন যেভাবে ইচ্ছা আদায় করবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৬৭; তিরমিযী, হা/২৩৬)।
প্রশ্নকারী : মো. সৈকত হোসেন