উত্তর: একদল মানুষ শা‘বান মাসের ১৫তম রাতকে বিশেষ মর্যাদায় পালন করে, যা বিদআত। শা‘বান মাসের কোনো রাতকে সৌভাগ্যের রাত বলে ঘোষণা করা হয়নি; ইসলামে সৌভাগ্যের রাত হলো লায়লাতুল ক্বদর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি এটি (আল-কুরআন) এক বরকত ও কল্যাণময় রাতে নাযিল করেছি’ (আদ-দুখান, ৪৪/৩)। উক্ত আয়াতে ‘লায়লাতুম মুবারাকা’ হলো ‘লায়লাতুল ক্বদর’। সুতরাং শবেবরাতকে কেন্দ্র করে কোনো আয়োজন করা তথা হালুয়া-রুটি ও গোশত পাকানো এবং তা পাড়া-প্রতিবেশীদের মাঝে বিলানো, আলোকসজ্জা এবং আনন্দ উৎসবে পটকা ফুটানো বা খাছ কোনো ইবাদত বিদআত। এছাড়া এ রাতে আলাদাভাবে ছালাত আদায় করা হয়। প্রথা অনুযায়ী এ ছালাতের পদ্ধতি হলো প্রতি রাকআতে সূরা আল-ফাতেহার পর সূরা আল-ইখলাছ ১০ বার করে পড়ে মোট ১০০ রাকআত ছালাত পড়া হয়, যাতে করে সূরা আল-ইখলাছ ১০০০ বার পড়া হয়। মিশকাতের ভাষ্যকার মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী রহিমাহুল্লাহ বলেন, জেনে রাখুন, ইমাম সুয়ূত্বী রহিমাহুল্লাহ (৮৪৯-৯১১ হি.) তার কিতাবে দায়লামী ও অন্যদের আনীত হাদীছসমূহ যেখানে মধ্য শা‘বানে প্রতি রাকআতে ১০ বার করে সূরা আল-ইখলাছসহ ১০০ রাকআত ছালাতের যে অগণিত ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, তা সবই মাওযূ‘ বা জাল (মিরক্বাত, দিল্লী ছাপা: তাবি, ৩/১৯৭)। তাই সৌভাগ্য রজনী অথবা মুক্তি রজনী মনে করে বিভিন্ন প্রকার আমল ও ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা, এটা কুরআন ও সুন্নাহ পরিপন্থী। এটাই ধর্মে বাড়াবাড়ি। যা ধর্মে নেই, তা উদযাপন করা ও প্রচলন করার নাম বিদআত।
প্রশ্নকারী : নয়ন
ঢাকা।