উত্তর: সাহারীর সময় মানুষকে জাগানোর জন্য মাইকে ডাকাডাকি করা, গযল গাওয়া, সময় বলে দেওয়া, সাহারী খাওয়া নিষেধ বলে ঘোষণা দেওয়া বা সাহারীর সময় শেষ বলে ঘোষণা করা ইত্যাদি নতুন আবিষ্কৃত, যা শরীআতে কোনো ভিত্তি নেই। সুতরাং এগুলো বিদআত। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনে এমন কিছু নতুন চালু করল যা তাতে নেই, তা পরিতাজ্য’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৫৫০)। বরং এভাবে নিষেধ করা ছহীহ হাদীছের বিরোধী। কেননা আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি ফজরের আযান শুনতে পায় আর এ সময় তার হাতে খাদ্য বা পানির পাত্র থাকে, তাহলে সে যেন প্রয়োজন পূরণ না করা পর্যন্ত পাত্র না রাখে’ (আবূ দাঊদ, হা/২৩৫০)। আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওয়ানা দিলাম এবং তিনি ছিয়ামরত ছিলেন। সূর্য অস্ত যেতেই তিনি বললেন, ‘তুমি সওয়ারী হতে নেমে আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো’। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আর একটু সন্ধ্যা হতে দিন। তিনি বললেন, ‘তুমি নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো’। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এখনো তো আপনার সামনে দিন রয়েছে। আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো’। অতঃপর তিনি সওয়ারী হতে নামলেন এবং ছাতু গুলে আনলেন। এরপর আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙুল দ্বারা পূর্বদিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘যখন তোমরা দেখবে যে, রাত এদিক হতে আসছে, তখনই ছওম পালনকারী ইফতার করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫৬)। অত্র হাদীছদ্বয় প্রমাণ করে যে, এসময় খেলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না।
প্রশ্নকারী : এস এম মহিউদ্দীন
চাপাপুর, কুমিল্লা।