কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৪): মাইকে ‘সাহারী খাওয়া নিষেধ’ এরকম বলার সময় পানি খাওয়াতে কি ছিয়াম নষ্ট হয়ে যায়?

উত্তর: সাহারীর সময় মানুষকে জাগানোর জন্য মাইকে ডাকাডাকি করা, গযল গাওয়া, সময় বলে দেওয়া, সাহারী খাওয়া নিষেধ বলে ঘোষণা দেওয়া বা সাহারীর সময় শেষ বলে ঘোষণা করা ইত্যাদি নতুন আবিষ্কৃত, যা শরীআতে কোনো ভিত্তি নেই। সুতরাং এগুলো বিদআত। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনে এমন কিছু নতুন চালু করল যা তাতে নেই, তা পরিতাজ্য’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৫৫০)। বরং এভাবে নিষেধ করা ছহীহ হাদীছের বিরোধী। কেননা আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি ফজরের আযান শুনতে পায় আর এ সময় তার হাতে খাদ্য বা পানির পাত্র থাকে, তাহলে সে যেন প্রয়োজন পূরণ না করা পর্যন্ত পাত্র না রাখে’ (আবূ দাঊদ, হা/২৩৫০)। আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওয়ানা দিলাম এবং তিনি ছিয়ামরত ছিলেন। সূর্য অস্ত যেতেই তিনি বললেন, ‘তুমি সওয়ারী হতে নেমে আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো’। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আর একটু সন্ধ্যা হতে দিন। তিনি বললেন, ‘তুমি নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো’। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এখনো তো আপনার সামনে দিন রয়েছে। আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো’। অতঃপর তিনি সওয়ারী হতে নামলেন এবং ছাতু গুলে আনলেন। এরপর আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙুল দ্বারা পূর্বদিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘যখন তোমরা দেখবে যে, রাত এদিক হতে আসছে, তখনই ছওম পালনকারী ইফতার করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫৬)। অত্র হাদীছদ্বয় প্রমাণ করে যে, এসময় খেলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না।

প্রশ্নকারী : এস এম মহিউদ্দীন

চাপাপুর, কুমিল্লা।


সাওয়াল জওয়াব

প্রশ্ন (৪৪): আমাদের গ্রামে ঈদের ছালাত ৬ তাকবীরে হয় আর পাশের গ্রামে ১২ তাকবীরে হয়। সুন্নাতের অনুসরণের জন্য পাশের গ্রামে যাওয়ায় অনেকে অনেক কথা বলে। সেক্ষেত্রে করণীয় কী?

প্রশ্ন (৪৫): ঈদের ছালাত কি একাধিকবার আদায় করা যাবে বা কোনো ইমাম আদায় করাতে পারবে?

প্রশ্ন (৪৬): আমি এক হিন্দু লোকের সাথে কাজ করি। এখন ঈদের সময় সেই হিন্দু লোকের কাছ থেকে কি ঈদের বোনাস চাওয়া যাবে বা দিলে গ্রহণ করা যাবে?

প্রশ্ন (৪৭): আমাদের এলাকায় ঈদের মাঠে মহিলাদের ছালাতের কোনো ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায় আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি আমার মা আমাদের নিজ বাড়িতে এলাকার মহিলাদের নিয়ে জামাআতবদ্ধভাবে ঈদের ছালাত আদায় করে এবং আমার মা হাদীছের বই পড়ে খুৎবা প্রদান করেন। এখন আমার জানার বিষয় হলো, উক্ত বিষয়টা কি শরীআত অনুযায়ী ঠিক আছে?

প্রশ্ন (৪৮): ঈদের দিনের করণীয় কী? ঈদের ময়দানে ছালাতের পূর্বে মছল্লীদের নিকট হতে দান গ্রহণ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১): ছিয়াম এবং ঈদ কত হিজরী থেকে শুরু হয়েছে? কেন দেওয়া হয়েছে এ বিধান?

প্রশ্ন (২): ছোট বাচ্চারা ছিয়াম রাখতে চাইলে করণীয় কী?

প্রশ্ন (৩): শুক্রবারে ছিয়াম রাখতে নিষেধ করা হয়েছে, আবার আরাফার দিনে ছিয়াম রাখার ফযীলত অনেক।আমার প্রশ্ন হলো আরাফার দিন যদি শুক্রবারে হয়,তাহলে কী করতে হবে?

প্রশ্ন (৪): ছিয়াম ভঙ্গকারী জিনিসগুলো কী কী?

প্রশ্ন(৫): পুরো বিশ্ব একদিনে ছিয়াম রাখবে নাকি নিজ নিজ চাঁদ দেখে ছিয়াম রাখবে- এ ব্যাপারে যেহেতু মতানৈক্য আছে। তাই আমি যদি দুয়েকদিন আগে থেকে ছিয়াম শুরু করি, তাহলে কি কোনো সমস্যা আছে?

প্রশ্ন (৬): সুস্থ শরীরে একটি ছিয়াম ভাঙলে কয়টি ছিয়াম রাখতে হবে? ছিয়াম অবস্থায় সহবাস হয়ে গেলে করণীয় কী?

প্রশ্ন (৭): আমি শুক্রবারের দিন ফজরের সময় স্বপ্নদোষের কারণে ফরয গোসল করেছি। এখন জুমআর ছালাতের জন্য কি আবার গোসল করতে হবে? রাতে এমন হলে ঐদিন ছিয়ামের বিধান কী?

প্রশ্ন (৮): রামাযান মাসের ছিয়ামের পর কোন কোন ছিয়াম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

প্রশ্ন (৯): রামাযানের এক দিন আগেও আমরা ফজরের ছালাত পড়েছি ৫:২০-৫:২৫ মিনিটে। তখন কিন্তু অন্ধকার। রামাযানে ফজর পড়ি ৪:৩০ মিনিটে বা তার আগে। এটা কি ঠিক হচ্ছে?

প্রশ্ন (১০): কেউ যদি পুরো রামাযান মাস সফরে থাকে, তাহলে সে কীভাবে ছিয়াম রাখবে?

প্রশ্ন (১১): রামাযান মাসে কুরআন খতম দেওয়ার ফযীলত কী? ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি রামাযান মাসে খতম দিলে ৭০ গুণ বেশি ছওয়াব হয়, এর সত্যতা কী?

প্রশ্ন (১২): ছিয়াম অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৩): আমার পিরিয়ড ৩ দিন হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়; কিন্তু ৯ম/১০ম দিনে আবার হয় ১/২ দিন থাকে, এটা কি অসুস্থতা নাকি পিরিয়ড, এমতাবস্থায় ছিয়ামের বিধান কী?

প্রশ্ন (১৫): একই সফরে একাধিক উমরা পালন করার বিধান কী? যেমন- নিজের পক্ষ থেকে, মায়ের পক্ষ থেকে। রামাযানে উমরা করার আলাদা কোনো ফযীলত আছে কি?

প্রশ্ন (১৪): রামাযানে কি বিকট আওয়াজ হবে? এই ১৫ রামাযানেই কি মহাকাশে বিকট শব্দ হবে?

প্রশ্ন (১৬): রামাযান মাসের শুক্রবারে মারা যাওয়ার আলাদা কোনো ফযীলত আছে কি?

প্রশ্ন (১৭): অনেকে মনে করে জোড় রাতে কদর হয় না, জোড় রাতে কি কদর হতে পারে না?

প্রশ্ন (১৮): আমাদের এলাকায় রামাযান মাসে মসজিদের ইমাম মুয়াযযিন মিলাদ করে, রামাযানে সাহরীর সময় গযল বলে, ডাকাডাকি করে, মসজিদে বিভিন্ন পীরের মুরিদের যিকির হয়, আলোচনা হয়।রামাযান কেন্দ্রিক এগুলো করার বিধান কী?

প্রশ্ন (১৯): শাওয়ালের ছিয়াম কি একটানা ৬টি থাকতে হবে, নাকি মাঝে মাঝে থাকলে হবে? আমি যদি প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার ছিয়াম রাখি; তাহলে কি শাওয়ালের ছিয়াম আদায় হবেনাকি আলাদাভাবে থাকতে হবে?

প্রশ্ন (২০): যদি কেউ রামাযান মাসে পিল/ওষুধ খেয়ে হায়েয বন্ধ রেখে ছিয়াম পালন করে, তাহলে কি কোনো গুনাহ হবে?

প্রশ্ন (২১): গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী নারী ছিয়াম রাখতে পারবে কি? না পারলে কী করবে? বিস্তারিত জানতে চায়।

প্রশ্ন (২২): যে সব দেশে ১৬/১৭ ঘণ্টা সূর্য থাকে, সেসব দেশে কীভাবে ছিয়াম পালন করতে হবে?

প্রশ্ন (২৩): আমাদের এলাকার মসজিদে ইফতার হয়। সেখানে সম্মিলিত মুনাজাত হয়। সে সময় আমি তাদের দু‘আয় শরিক না হয়ে একাকী হাত তুলে দু‘আ করতে পারব কি?

প্রশ্ন (২৪): মাইকে ‘সাহারী খাওয়া নিষেধ’ এরকম বলার সময় পানি খাওয়াতে কি ছিয়াম নষ্ট হয়ে যায়?

প্রশ্ন(২৬): রামাযান মাসে রাত্রিবেলা স্বপ্নদোষ হয়েছে অর্থাৎ গোসল ফরয হয়েছে, সে জাগ্রত হয়ে দেখে যে সাহারী খাওয়ার সময় নেই, গোসল করলে সাহারী খাওয়ার সময় পাবে না। এখন কি সে সাহারী খাবে না গোসল করবে?

প্রশ্ন (২৭): সাহারী খাওয়ার পর, ফজরের আযানের আগেই ফজরের ছালাত পড়ে নেওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (২৮): আযান শুনেই ইফতার করা আবশ্যক নাকি চার্ট বা সময় দেখেও ইফতার করা যাবে?

প্রশ্ন (২৯): ছিয়াম না রাখার নিয়তে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে সাহারীর সময় একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবে কি?

প্রশ্ন (৩০): আমাদের মসজিদে পুরো রামাযান মাস ইফতারের আয়োজন করা হয়। যেকোনো লোক ইফতার দিতে পারে এবং যেদিন কেউ দেয় না সেদিন মসজিদ কমিটি থেকে দেওয়া হয় এবং মসজিদের মাইকে ইফতারের দাওয়াত দেওয়া হয়। অনেক ছোট বাচ্চারা আসে এবং অনেকে ছিয়াম থাকে না তারাও আসে। আমার প্রশ্ন, এরকম আয়োজন কি করা যাবে?

প্রশ্ন (৩১): তারাবীহর ছালাত কখন কীভাবে কত রাকআত পড়তে হবে? ২০ রাকআত পড়লে কি গুনাহ হবে?

প্রশ্ন (৩২): তারাবীহর ছালাতের সময় কিছু হাফেয এত দ্রুত কুরআন তিলাওয়াত করে যে তা আমাদের মতো জনসাধারণের স্পষ্টভাবে শুনতে বা বুঝতে অসুবিধা হয়। এমতাবস্থায় হাফেযদের কিছু বলতেও বিব্রতবোধ করি। অথচ কুরআন আস্তে ধীরে বুঝেশুনে তিলাওয়াতের নির্দেশ আছে, আমি যতোদূর জানি।এক্ষেত্রে করণীয় কী?

প্রশ্ন (৩৩): ক্লান্তি, সফর বা কোনো ব্যস্ততার কারণে যদি কোনো দিনের তারাবীহ পড়া না হয়, তাহলে কি গুনাহ হবে এবং ঐ দিনের তারাবীহ এর ছালাত কি পরে কাযা পড়তে হবে?

প্রশ্ন (৩৪): তারাবীহর হাদিয়া বলে টাকা উঠিয়ে অল্প কিছু টাকা ইমামকে দিয়ে বাকি টাকা মসজিদ ফান্ডে রাখার বিধান কী?

প্রশ্ন (৩৫): একজন পুরুষ মানুষ কি শুধু মহিলাদের তারাবীহ পড়াতে পারে?

প্রশ্ন (৩৬): বিতর ছালাত আদায় করলে কি তাহাজ্জুদ বা তারাবীহর ছালাত আদায় করা যাবে? নাকিআগেতাহাজ্জুদইপড়তেহবে?

প্রশ্ন (৩৭): রামাযানকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য পুরো রামাযান ই‘তিকাফ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৮): ‘যে ব্যক্তি রামাযানের শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ্জ ও দুটি উমরার ছওয়াব প্রদান করা হবে’- মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?

প্রশ্ন (৩৯): মহিলারা কি মসজিদে ই‘তিকাফ করতে পারে? মহিলা পুরুষ একসাথে সম্মিলিতভাবে ‘লায়লাতুল কদর’ আদায় করতে পারে কি?

প্রশ্ন (৪০): আমার এলাকায় এমন একটা প্রচলন আছে যে, ই‘তিকাফের জন্য এলাকার মধ্যে থেকে একজনকে ই‘তিকাফে বসানো হয়এবং বলা হয়, এলাকার মধ্যে কেউ একজন ই‘তিকাফে না বসলে সবাই গুনাহগার হবে, যদি বসে তাহলে সবাই ছওয়াব পাবে। আমার প্রশ্ন হলো এটা কি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ দ্বারা সাব্যস্ত?

Magazine